শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচনে শেষ মূহুর্তে পাল্টে যেতে পারে হিসাব নিকাশ

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচনে শেষ মূহুর্তে পাল্টে যেতে পারে হিসাব নিকাশ

Globe aire ac

আরিফ হোসেনঃ শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে চুল চেরা হিসাব নিকাশ ততো জমে উঠেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে নির্বাচনের শুরুতে চেয়ারম্যান পদের প্রর্থীদের এক এক জনে প্রতি ভোটারদের মধ্যে যে সমর্থণ ছিল তা শেষ মুহুর্তে এসে পাল্টে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে প্রার্থীদের আচরণ ও ব্যক্তিত্বের প্রতি দূর্বলতা, কর্মীদের গনসংযোগের কৌশল, অর্থনৈতিক লেনদেনের সঠিক ব্যবহার, বিএনপির একাংশের নেতাদের গোপন সমঝোতার প্রতি তৃণমূলের কর্মীদের বিরুপ প্রতিক্রিয়া সহ বেশ কয়েকটি বিষয়। অনেকে প্রার্থীদের প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবুল এবং উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির এর সমর্থণকে সামনে নিয়ে আসছেন। তবে অনেকে তাদের এই হিসাবে মানতে নারাজ। তারা চোখের সামনে উদাহরণ টেনে দেখিয়ে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনে তাদের দেখানো পথে সমর্থকরা হাটছেননা।

নির্বাচনের শুরুতে প্রার্থী নির্ধারণের জন্য তৃণমূল আওয়াওয়ামী লীগের ভোটের আয়োজন করা হয়। ভোটে জেলা যুবলীগের মসিউর রহমান মামুন জয় লাভ করেন। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র মনোনয়ন দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেনকে। মসিউর রহমান মামুন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন বিদ্রোহী হিসাবে নির্বাচনে নামেন। জাকির হোসেন এর আগরে ২ নির্বাচনেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

নির্বাচনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের আনাচে কানাচে ঘুরে দেখা গেছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের অনেকেই মানতে পারছেন না। তবে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ স্মরণ করছেন আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে দলে তোফাজ্জল হোসেনের অবদানের কথা।
১৪ টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটিতে দোয়াত কলম প্রতিকের জাকির হোসেনের আবস্থান শুরুতে ভাল থাকলেও শেষ মূহুর্তে এসে অনেকটাই নিচের দিকে নেমে গেছে। বিএনপির একাংশের একাধিক নেতার সাথে তার গোপন বৈঠকের অভিযোগ রয়েছে। তবে বিএনপির তৃণমূল নেতাদের এই আচরণ না মেনে তাদেরকে দালাল হিসাবে অভিহিত করছেন। নেতাদরে সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তারা জোট বাধছেন বিপরীত মুখী হয়ে। এক্ষেত্রে যেসকল ইউনিয়নে আনারস প্রতিকের মসিউর রহমান মামুনের অবস্থান নিচের দিকে ছিল সেসবস্থানে এখন অনেকটাই পোক্ত। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের কাছে পৌছানোর ক্ষেত্রে তার কর্মীদের গৃহীত কৌশল তাকে এগিয়ে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ তোফাজ্জল হোসেনকে সমর্থনের ক্ষেত্রে পদ বাচাতে ইউনিয়নের অনেক নেতা প্রচারণায় দিনে তার কথা বললেও রাতে তাদের অনেককে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন প্রার্থীর সাথে। তবে আওয়ামী লীগের কট্টর কর্মী ও হিন্দু ভোট ব্যাংকের উপর তার ভরসা রয়েছে।

৩১ মার্চের নির্বাচনে আজই প্রচারণার শেষ দিন। বিশ্লেষকদর মতে, শেষ মুহুর্তে এসে আনারস ও নৌকা প্রতিক তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তাদের মতে সবকিছু নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতি, অর্থের লেনদেনের সঠিক ব্যবহার ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ধরে রাখার উপর।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment